• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মিনিকেট-নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই: খাদ্যমন্ত্রী 

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২১  

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মিনিকেট আর নাজিরশাইল বলতে কোনো ধান নেই। অন্য জাতের ধানকে এসব ধানের চাল বলে বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো সবই ব্যবসায়ীদের দেওয়া নাম।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে ইন্টারন্যাশনাল নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যে সরু চাল খাওয়া হচ্ছে, সেটা হলো জিরাশাইল, শম্পা কাটারি এ দুই ধানটাই বেশি। এ ধানকেই মিনিকেট বলে চালানো হচ্ছে। আবার ২৮-কেও মিনিকেট বলে চালায়, ২৯-কেও মিনিকেট বলে চালায়, আর আমরাও (জনগণ) মিনিকেটই খুঁজি। এছাড়া নাজিরশাইল বলেও কোনো ধান নেই।

এ জন্য সবাইকে সাদা স্বচ্ছ চালের পরিবর্তে লাল চাল খাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে ভেজালের জন্য শুধু সরকারকে দোষারোপ করলে হবে না। এ জন্য সচেতন হতে হবে। বিভাগ থেকে শুরু করে উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যন্ত ভেজালকে আমাদের না বলতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, বাজারে ২৯ ও ২৮ জাতের ধানকে মিনিকেট বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফল আমরা বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। কৃষি মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দিয়েছি।

গবেষণায় কী পেলেন জানতে চাইলে সচিব নাজমানারা খানুম বলেন, ওখানে আমরা এটাই পেলাম, ধান যেটাই উৎপাদন করা হোক না কেন নাম মিনিকেট, এটা তাদের ব্র্যান্ড নাম। আমরা এখন চেষ্টা করবো ব্র্যান্ডিং আপনি যে নামেই করেন না কেন আপনাকে মূল ধানের সোর্স লিখে বিক্রি করতে হবে। আমরা সে কাজটাই করছি।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –